OrdinaryITPostAd

মানুষ কেন ঘুমের মধ্যে মারা যায়

 মানুষ কেন ঘুমের মধ্যে মারা যায় তা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সঠিক ধারণা নাই। যদিও বিজ্ঞান এখনো মৃত্যু নিয়ে সঠিক কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে নি।



আপনি যদি জানতে চান মানুষ কেন ঘুমের মধ্যে মারা যায়, তাহলে সেই সম্পর্কিত নিম্নোক্ত আর্টিকেল
টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।   

সূচিপত্র: মানুষ কেন ঘুমের মধ্যে মারা যায় 

ভূমিকা 

মৃত্যু একটি বাস্তব এবং সত্য শব্দ। যে কোনো প্রাণীই মৃত্যু বরণ করতে পারে। প্রতিটি জীবন্ত মানুষের কোনো না কোনো সময় মৃত্যু হবেই।তাই মৃত্যুর জন্য আমাদের সবসময় মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। মৃত্যু বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে সংঘটিত হতে পারে,এমনকি ঘুমের মধ্যেও মানুষ মারা যায়। 

ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়ার কারণ 

যখন মানুষ নিজেদের মৃত্যুর কথা চিন্তা করে। বিশেষ করে, বৃদ্ধ বয়সে ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া প্রায় মানুষের কাছেই কম ভীতিকর মনে হয়।সাধারণ মানুষের ভাবনা হলো,এ ধরনের মৃত্যু সম্ভবত ব্যথাহীন।

এছাড়াও মানুষ তার জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ সময়ই ঘুমিয়ে কাটায়।তাই এ ধরনের মৃত্যুকে খুব একটা অস্বাভাবিকও মনে হয় না।কিন্তু যখন এটি অপেক্ষাকৃত কমবয়সী মানুষের ক্ষেত্রে ঘটে?সেক্ষেত্রে দেখা যায় বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজনের জন্য এটি বড় ধাক্কা হয়ে যায়।কিন্তু কেন মানুষ ঘুমের মধ্যে মারা যায়? নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে জানা যায়,খুব বেশি ঘুম বা খুব কম ঘুম সামগ্রিক ভাবে মৃত্যুর ঝুঁকির সাথে জড়িত।

আরও পড়ুন

 তবে ঘুমের পরিমাণ একজন মানুষের ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে কী না,তার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ নেই। বেশিরভাগ ভাগ মানুষ ঘুমের মধ্যে মারা যায় স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা ও সমস্যার কারণে। মাঝেমধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা কম গ্লুকোজের মাত্রার কারণে ঘুমের মধ্যে মারা যেতে পারেন। এছাড়াও স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনের জন্যও অনেকে ঘুমের মধ্যে মারা যায়। 

চিকিৎসকের মতে করণীয় 

স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা ও সমস্যার জন্য অনেকে ঘুমের মধ্যে মারা যায়।আর এ ধরণের জটিলতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের মৃত্যুঝুঁকি কমানো সম্ভব। ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া সাধারণত হার্ট, ফুসফুস বা মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত।তাই এগুলোর সঠিক যত্ন নেওয়া দরকার অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের কারণেও ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুঃচিন্তা পরিহার করা উচিত। সবসময় মানসিকভাবে নিজেকে সুস্থসবল রাখলে এমন অপমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

ইতিকথা 

শুধু বয়স্করাই নয়, ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে কমবয়সী ব্যক্তিরও।নানাধরণে বার্ধক্যজনিত সমস্যার ফলে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। তাই সবসময় স্বাস্থ্য সচেতন থাকা আবশ্যক। নিজেদের রোগ-ব্যধির দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত দুঃচিন্তা করা যাবে না,অনিয়মিত ঘুমানো যাবে না,সবসময় নিয়ম মেনে ঘুমানো প্রয়োজন। 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪