OrdinaryITPostAd

ফিলিস্তিন ইসরায়েলের যুদ্ধ

প্রায় আট দশক ধরে সংঘাত চলছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল অঞ্চলে। এই সংঘাত-সহিংসতা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। শুধু ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থেকে এই ইস্যু নিয়ে বিরোধের হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে।


গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিতে ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। জবাবে গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা শহরের বিভিন্ন এলাকা ধূলোয় মিশে গেছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার এবং গাজায় ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। ইসরায়েল সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের পাশাপাশি হামলা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

তবে সময়ের চাকা ঘুরে আবার আলোচনায় উঠে আসা এই বিরোধের শেকড় গাঁথা আছে ইতিহাসের গভীরে।

ইসরায়েলের জন্ম মূলত বেলফোর ঘোষণা থেকে। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব আর্থার বেলফোর ব্রিটিশ ইহুদি সম্প্রদায়ের সদস্য ও আন্দোলনকারীদের নেতা লিওনেল ওয়াল্টার রথশিল্ডকে সম্বোধন করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটি ছিল মাত্র ৬৭ শব্দের। এই চিঠিতে ‘ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য ফিলিস্তিনে আবাস প্রতিষ্ঠা’ এবং এর অর্জন সহজতর করার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়। চিঠিটি ‘বেলফোর ঘোষণা’ নামে পরিচিত।

অর্থাৎ একটি ইউরোপীয় শক্তি ইহুদিবাদী আন্দোলনকে এমন একটি দেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যেখানে ফিলিস্তিনি আরবরা সংখ্যায় ৯০ শতাংশের বেশি ছিল। ১৯২৩ সালে এই ইস্যুতে একটি ব্রিটিশ ম্যান্ডেট তৈরি করা হয়েছিল যা ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। ইউরোপে নাৎসিবাদের কারণে ইহুদিরা পালাচ্ছিল এবং সেই সময়ে ব্রিটিশরা ব্যাপকহারে ফিলিস্তিনে ইহুদি অভিবাসনকে সহায়তা করেছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের দেশে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। ১৯৩৬ সালে তারা আরব ন্যাশনাল কমিটি গঠন করে। তারা ক্রমবর্ধমান ইহুদি বসতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করে এবং ইহুদিদের উৎপাদিত পণ্য বর্জনের ডাক দেয়।

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা আসার পর দিন থেকে ব্রিটিশ শাসনাধীন ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তাতে সাড়ে সাত লাখের মতো আরব নিজেদের আবাস ছেড়ে পার্শ্ববর্তী জর্ডান, লেবানন, সিরিয়ায় আশ্রয় নেন। অনেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস শুরু করেন। নিহত হয় অন্তত ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি। ইহুদিরা দেশটির ৭৮ শতাংশ দখল করে নেয়। বাকি ২২ শতাংশ ছিল এর ভেতরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন এলাকা।   

যুক্তরাষ্ট্রের ঘণিষ্ট মিত্র ইসরায়েল ওই সময় দাবি করেছিল, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়ার পরদিনই পাঁচটি আরব দেশ তাদের আক্রমণ করেছে এবং এই হামলার কারণেই এতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪